Pages

Saturday, November 26, 2011

ইন্টারনেট থেকে আয় : ডাটা এন্ট্রি করে উপার্জন করুন

ডাটা এন্ট্রি করে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার একটিমাত্র দক্ষতাই প্রয়োজন, দ্রুত এবং নিখুতভাবে টাইপ করতে জানা। কাজ পাওয়া যায় খুব সহজেই।




বিশ্বের বহু কোম্পানী রয়েছে যাদের লক্ষ লক্ষ ফরম পুরন করা প্রয়োজন, অথচ একাজের জন্য পর্যাপ্ত লোক নেই। তারা দ্রুতই জেনে গেছে ইন্টারনেট এই কাজের জন্য উপযোগি মাধ্যম। খুব সহজে ব্যক্তি বা প্রতিস্ঠানের কাছ থেকে এই কাজ করিয়ে নেয়া যায়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যে ফরমগুলি পুরন করতে হয় সেগুলি ছোট। প্রতি ফরমের জন্য ৩০ থেকে ৫০ ডলার পাওয়া যায়। দিনে ৩০০ থেকে ২০০০ আয় করা অসম্ভব না। শুনে অবাক হতে পারেন, এই কাজ করে মাসে ৪০ হাজার ডলার আয় করার উদাহরন রয়েছে। অন্য কাজে জড়িত থাকলেও সপ্তাহে এক বা দুদিন একাজের জন্য বরাদ্দ রেখে অতিরিক্ত আয় করা যেতে পারে।
এজন্য আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে কাজের মধ্যস্থতা করে এমন প্রতিস্ঠানের সাথে। আউটসোর্সিং এর জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে।
মাই-ডাটা টিম এজন্য একটি স্বীকৃত ওয়েবসাইট। এখানে যোগাযোগ করতে পারেন।
http://www.my-data-team.com/

এখানে সদস্য হওয়ার জন্য কিংবা কাজ পাওয়ার জন্য কোন ফি দিতে হয় না। ১৭ হাজারের বেশি কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ রয়েছে তাদের। তাদের দাবী, তাদের কাছেও তারা টাকা নেয় না।
কাজ শুরুর জন্য প্রথমে তারা আপনাকে কিছু ডাটা দেবে এন্ট্রি করে নির্দিস্ট যায়গায় পাঠানোর জন্য। তাদের কর্মী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য সেগুলি ঠিকভাবে এন্ট্রি করাই যথেষ্ট।
এছাড়া আপনার টাকা পাওয়ার জন্য পে-লিংক একাউন্টে নাম লেখাতে হয়। সেই তথ্য অনুযায়ী তারা আপনার নামে চেক অথবা অন্য মাধ্যমে টাকা পাঠাবে।
এছাড়া কাজ করার জন্য সব ধরনের পরামর্শ থেকে শুরু করে ই-মেইল সাপোর্ট সবকিছুই পাওয়া যাবে তাদের কাছ থেকে।
স্বল্পকালীন কাজ
ফ্রিল্যান্সার, ওডেস্ক এর মত ক্রাউড সোর্সিং ওয়েবসাইটের সদস্য হতে পারেন। সেখানে প্রতিনিয়ত নানাধরনের কাজ জমা হয়। পার্টটাইম, ফুলটাইম সবধরনের ডাটাএন্ট্রি কাজ পাওয়া যায় সেখানে। কাজের ধরন, সংক্ষিপ্ত বর্ননা, আনুমানিক পেমেন্ট ইত্যাদি উল্লেখ করা থাকে। পছন্দমত কাজের লিংকে ক্লিক করে কত টাকায় করতে চান জানালে তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এই সাইটেই কিছু কাজের নমুনা রয়েছে। সেখানে কাজের নিয়ম হল প্রথমে সদস্য হতে হয়। সদস্য হওয়া বা কাজ পাওয়া, করা কোনটিতেই খরচ নেই, তারা আয় থেকে কিছু কমিশন (১০%) রেখে দেয়। বড় ধরনের কাজ নিয়ে একাধিক ব্যক্তি মিলেও করতে পারেন। বাংলাদেশে এধরনের দল গড়ে কাজ করার উদাহরন রয়েছে।
ডাটা এন্ট্রির মত একই ধরনের অন্যান্য কাজও পাবেন এধরনের সাইটে। সদস্য হওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন নিজস্ব ইমেইল এড্রেস। সদস্য হবেন এখান থেকে www.freelancer.com
অথবা আগে সদস্য হলে সরাসরি এই সাইট থেকেই কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। দেরী না করে কাজ শুরু করুন।

ইন্টারনেট থেকে আয় : ফাইল আপলোড করে উপার্জন করুন

ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয় করতে চান ? খুব সহজে ?
করতে পারেন। ইন্টারনেটে ফাইল আপলোড করুন। যখনই কেউ সেই ফাইল ডাউনলোড করবে প্রতি ডাউনলোডের জন্য আপনি টাকা পাবেন। কি আপলোড করবেন তা নিয়েও ভাবার কিছু নেই। বিভিন্ন টরেন্ট সাইট, ইউটিউব যেখান থেকেই হোক না কেন, জনপ্রিয় ফাইল ডাউনলোড করে আপলোড করুন।
ফাইল শেয়ারিং ইন্টারনেটের জনপ্রিয় একটি ব্যবস্থা। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ সফটঅয়্যার, গেম, ভিডিও, অডিও থেকে শুরু করে সব ধরনের ফাইল আদান-প্রদান করছে। যে সাইটগুলি এই কাজ পরিচালনা করে তারাও নিজেরা অর্থ বানাচ্ছে বিজ্ঞাপন সহ অন্যান্য পদ্ধতিতে। ধরে নিতে পারেন এটা তারই অংশ। যে সাইটে বেশি ডাউনলোডের জিনিষপত্র থাকে সেখানে ভিজিটর বেশি, কাজেই তারা একাজে কিছু অর্থ ব্যয় করে।
এজন্য আপনার প্রয়োজন শুধুমাত্র একটি ভাল ইন্টারনেট সংযোগ।
বিনামুল্যে এই সেবা দেয় এমন একটি সাইটে গিয়ে রেজিষ্টার করুন। ফাইল আপলোড করুন। সাথেসাথে আয় আসতে শুরু করবে।
এধরনের একটি সাইট শেয়ারক্যাশ। এখানে বিনামুল্যে সদস্য হওয়া যায়। আপলোড করা প্রতিটি ফাইলের সাইজ সর্ব্বোচ্চ ২০০ মেগাবাইট পর্যন্ত হতে পারবে।
ভিডিওসহ আরো বড় ফাইল আপলোডের জন্য বিকল্প পথ রয়েছে। পাশওয়ার্ডসহ জিপ করে ফাইলটি আপলোড করুন পাইরেট-বে কিংবা এধরনের সাইটে। পাশওয়ার্ডটি আপলোড করুন এদের কাছে। মুল ফাইলের সাথে টেক্সট ফাইলে লিখে দিন পাশওয়ার্ড কোথায় থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
কিছু নিয়ম অবশ্যই রয়েছে। কপিরাইট আইন ভঙ্গ করবেন না, পনোর্গ্রাফি আপলোড করবেন না ইত্যাদি।
শেয়ারক্যাশ আপনাকে টাকা দেবে প্রতি ডাউনলোডের জন্য ৩০ থেকে ৬০ সেন্ট। আমেরিকা, বৃটেন ইত্যাদি দেশের জন্য ৬০ সেন্ট, ছোট দেশের জন্য কম এই নিয়মে। প্রতি ১০০ ডাউনলোডের জন্য পাবেন ৩০ থেকে ৬০ ডলার, প্রতি হাজারে ৩০০ থেকে ৬০০ ডলার।
তারা টাকা দেবে চেক অথবা পে-পলের মাধ্যমে।
যদি এই পদ্ধতি সফল হয়, দ্রুতগতির কানেকশনসহ ডেডিকেটেড সার্ভার ভাড়া করে আয় করতে পারেন আরো অনেক বেশি।

শেয়ারক্যাশে রেজিষ্টার করতে হবে এখান থেকে
http://sharecash.org/

ইন্টারনেট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন : গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার পদ্ধতি

ইন্টারনেট ব্যবহার করে আয় করার জন্য গুগল এডসেন্স অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে গুগলের তুলনা নেই। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন থেকে আয় করে তারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিস্ঠান। ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের একটি অংশ এডসেন্স।
প্রথমেই প্রশ্ন করা স্বাভাবিক, এডসেন্স কি ? এককথায় এডসেন্স হচ্ছে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন রাখার জন্য গুগলের একটি পদ্ধতি। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিশ্চয়ই বিভিন্ন লিংক দেখেছেন যার পাশে Ads by Google লেখা।এগুলিই এডসেন্স বিজ্ঞাপন। আপনার ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্য এডসেন্স এর রেজিষ্ট্রেশন করাই যথেষ্ট। এরপর ওয়েবপেজে কোন ভিজিটর যখন কোন লিংকে ক্লিক করবেন তখন সেই সাইটের মালিক হিসেবে আপনি টাকা পাবেন। প্রতি ক্লিকের জন্য কয়েক সেন্ট থেকে শুরু করে কয়েক ডলার পর্যন্ত। মাসে আয় হতে পারে কয়েকশ ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলার। ফল পাওয়া যায় সাথেসাথে।
এডসেন্স কিভাবে কাজ করে জানার জন্য আরো কিছু বিষয়ে ধারনা থাকা প্রয়োজন। যেমন গুগল এডওয়ার্ডস। কোন কোম্পানী বা ব্যক্তি যদি গুগলকে ব্যবহার করে ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপন দিতে চান তাহলে তাকে বলতে হয়, আমি অমুক বিজ্ঞাপন অত দিনের জন্য দিতে চাই, প্রতি ক্লিকের জন্য অত পরিমান টাকা দেব। তাদের সাথে গুগলের চুক্তি এটুকুই। এটাই এডওয়ার্ডস।
ধরুন কোন কোম্পানী তার পন্যের বিজ্ঞাপনের জন্য গুগলের সাথে যোগাযোগ করল মাসে ১০ হাজার ডলারের। প্রতি ক্লিকে তারা ১ ডলারের বেশি দেবে না।
গুগল তাদের বিজ্ঞাপনকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয়। আপনি এডসেন্সের সদস্য হলে আপনার ওয়েবসাইটেও সেটা পেতে পারেন। কেউ সেই লিংকে ক্লিক করলে আপনার একাউন্টে ১ ডলার হিসেব জমা হবে। আপনি যে কোন সময় আপনার হিসেব জানার সুযোগ পাবেন। মাসে একবার যদি বিল করতে চান তাহলে বিল করলে আপনার ঠিকানায় চেক পাঠাবে গুগল।
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে, যে কোম্পানীর এডসেন্স বিজ্ঞাপন সে জানে না তার বিজ্ঞাপন কোথায় দেখা যাবে। আপনিও কখনো নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ পাবেন না ঠিক কোন বিজ্ঞাপন আপনার সাইটে পাবেন। যেহেতু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের জন্য মুল্য বিভিন্ন রকম, আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিক্লিকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন অর্থ পেতে পারেন। আপনার রিপোর্ট দেখে জানতে পারেন কোন ক্লিকের জন্য কত জমা হয়েছে। অভিজ্ঞতা বাড়লে কমটাকার ক্লিকের থেকে বেশিটাকার ক্লিকের বিজ্ঞাপনে বাছাইএর ব্যবস্থা করা যায়। তবে আগেই জানিয়ে রাখা ভাল, প্রতি ক্লিকে বেশি টাকা হলেই আপনি বেশি টাকা পাবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। ভিজিটর যদি বেশি টাকার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার চেয়ে কমটাকার লিংকে নিয়মিত ক্লিক করে তাহলে আপনার আয়ের সম্ভাবনা বেশি।
মুল বিষয় হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর যত বেশি, ক্লিক করার সম্ভাবনা তত বেশি। আয় তত বেশি।
কাজটি কিভাবে করা সম্ভব দেখা যাক। আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এখনও যদি না থাকে তাহলেও এই মুহুর্তেই সেটা শুরু করতে পারেন।
১. Blogger.com সাইটে গিয়ে একটি ব্লগ তৈরী করুন। কয়েকটি ক্লিক করাই যথেষ্ট। এজন্য আপনার একটি ইমেইল এড্রেস প্রয়োজন হবে।
২. পছন্দমত টেম্পলেট বাছাই করুন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নানাধরনের ব্লগার টেম্পলেট পাওয়া যায়। পছন্দমত কোন একটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। শুরুতেই করতে হবে এমন কথা নেই, যে কোন সময় টেম্পলেট পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য বাড়ানো যাবে।
৩. ব্লগ পোষ্ট লিখতে শুরু করুন। কি নিয়ে লিখবেন ? আপনার যা ইচ্ছে। যদি গেম খেলতে ভালবাসেন গেমের রিভিউ লিখুন, মুভি দেখলে মুভির রিভিউ-খবর ইত্যাদি লিখুন। চারিদিকে লেখার মত বিষয়ের অভাব নেই।
৪. এডসেন্স একাউন্ট খুলুন। ব্লগার সাইটে এজন্য লিংক পাবেন। এখানে আপনার সাইটের ঠিকানা এবং পরিচিতি, আপনার ঠিকানা এসব তথ্য দিয়ে ফরম পুরন করতে হবে। এই ঠিকানায় আপনার নামে চেক পাঠানো হবে। আপনার সাইটে কোথায়, কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যাবে সেটা সিলেক্ট করলে তারাই বলে দেবে কিভাবে সেটা করতে হবে।
৫. বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে আপনার ব্লগের পরিচিতি লিখে দিন। ফলে সার্চ করে আপনার ব্লগ পাওয়া যাবে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে প্রচার বাড়ান।
অল্পকথায় কাজ এটুকুই। এরপর একটু একটু করে আরো জানতে চেষ্টা করুন কিভাবে সাইটকে আরো উন্নত করা যায়, কিভাবে ভিজিটর বাড়ানো যায়, বিজ্ঞাপন কিভাবে রাখলে বেশি আয় করা যায়। এখানে কিছু সাধারন তথ্য উল্লেখ করা হচ্ছে;
১. ক্লিক করলেই আয় হয় একথা ভেবে নিজেই বারবার ক্লিক করবেন না। গুগল খুব সহজেই আপনার ক্লিক এবং ভিজিটরের ক্লিক চিনতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার এডসেন্স রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করা হবে।
২. বেশি ভিজিটর পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি ভাল ওয়েবসাইট তৈরী। অন্যভাবে, ভিজিটরের আগ্রহ থাকে এমন বিষয় রাখা। ভুলে যাবেন না গুগল মুলত সার্চ ইঞ্জিন। কোন ওয়েব সাইট সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বেশি, কোথায় কত ভিজিটর যায়, কতক্ষন থাকে, কি করে এসব তথ্য তাদের চেয়ে ভাল অন্য কেউ জানে না। তাদের ঠকাতে চেষ্টা করবেন না। সাইটের প্রচার এবং মুল সাইটের বিষয়ের মধ্যে গড়মিল করবেন না।
৩. আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন পাবেন সাইটের বিষয়ের সাথে মিল রেখে। যেমন বইয়ের সাইট হলে বিভিন্ন প্রকাশক, বই বা বিক্রেতার বিজ্ঞাপন, ফটোগ্রাফি সাইট হলে ক্যামেরা, নির্মাতা বা বিক্রেতার বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। এডসেন্সে সাধারনভাবে মানুষের আগ্রহ রয়েছে এমন কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং আপনার সাইটেও সেসম্পর্কিত তথ্য রাখুন।
৪. বিনে টাকায় শুরু করার জন্য গুগলের ব্লগার অবশ্যই ভাল যায়গা। আপনার কোন খরচই নেই। তাহলেও দীর্ঘ্যস্থায়ী সাইটের জন্য নিজস্ব ডোমেইন নেম, নিজস্ব হোষ্ট থাকাই ভাল। সেক্ষেত্রে ব্লগার ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্লগার সহজ, কিন্তু ব্লগারের তুলনায় এগুলিতে কাষ্টমাইজ করার সুবিধে অনেক বেশি।
জানার জন্য এটুকু উল্লেখ করা যায়, ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ তৈরী করতে খরচ নেই কিন্তু সেখানে গুগলের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা যায় না। আর জুমলায় ফ্রি হোষ্টিং এর ব্যবস্থা নেই। ব্লাগার ছাড়াও আরো কিছু সাইট ফ্রি হোষ্টিং এর সুবিধে দেয়। এদের মধ্যে Tumblr এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
৫. সাধারনত বিজ্ঞাপন দেয়া হয় বিক্রির জন্য (পন্য অথবা সেবা)। ইন্টারনেটে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অনলাইন লেনদেন এর সম্ভাবনা বেশি। অথচ বাংলাদেশে অনলাইনে কেনাকাটার ব্যবস্থা নেই। অন্যভাবে বললে, বাংলাদেশ থেকে কেউ কিছু কেনার জন্য সাধারনত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে না। কাজেই বাংলায় ওয়েবসাইট তৈরী করলে এমনিতেই ক্লিকের সম্ভাবনা কমে যায়। যদি সম্ভব হয় সারা বিশ্বের জন্য ইংরেজিতে ওয়েবসাইট তৈরী করুন।

নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, নিজের খরচ চলার মত আয় পেতে কতটা সময় লাগতে পারে ?
খুবই গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন। এতে এমন জাদুকরী কিছু নেই যে রাতারাতি আপনি হাজার ডলার আয় করবেন। হাজার ডলার আয়ের জন্য অন্তত দুতিন বছর ক্রমাগত চেষ্টা করে ওয়েবসাইট উন্নত করার চেষ্টা করতে হতে পারে। এটুকু বলা যায়, একসময় ফল পাওয়া যাবেই। কাজেই দেরী না করে শুরু করাই উত্তম। এখনও যাকিছু শিখতে বাকি আছে সেগুলি ক্রমে শিখে নেয়া যাবে।
উন্নতমানের ওয়েবসাইট তৈরী, ওয়েবসাইটের প্রচার বাড়ানো, সার্চ ইঞ্জিন যেন সহজে খুজে পায় সে ব্যবস্থা করা (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও), এডসেন্স বাছাই করা, নির্দিষ্ট এডসেন্স ব্লক করা, এডসেন্স ছাড়াও আয়ের অন্যান্য পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে আগামীতে লেখা হবে।

ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জন : টাকা কিভাবে হাতে পাবেন

ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার পক্ষে যাকিছু করা সম্ভব সবই আপনি করলেন। যা জানা প্রয়োজন জানলেন, টাকা খরচ করে ইন্টারনেট সংযোগ নিলেন, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আউটসোর্সিং সাইটে গিয়ে কাজ নিলেন, সেটা করে জমাও দিলেন। এরপর আপনার হিসেবের পালা। আপনি টাকা পাবেন কিভাবে। এখানে যেহেতু আপনার সব ইচ্ছাই যথেষ্ট না সেহেতু আগেই হিসেব করে নেয়া ভাল।
আগে দেখে নেয়া যাক তারা দেয় কিভাবে।
সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ভিসা-মাষ্টারকার্ডের মত ক্রেডিট কার্ড। তারা আপনার নামে টাকা জমা দিতে পারে সাথেসাথেই, আপনিও সাথেসাথেই সেটা পাবেন। উন্নত দেশগুলিতে মানুষ কেনাকাটা থেকে শুরু করে ট্যাক্সিভাড়া পর্যন্ত দেয় ক্রেডিটকার্ডের মাধ্যমে। কাজেই তারা এই পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করবে সেটাই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে ক্রেডিট কার্ড নামের একটি বস্তু পকেটে নিয়ে বেড়াতে পারেন, টাকার বদলে সেটা দিতে পারেন না। সেটা থেকে টাকা বানিয়ে সেই টাকা নিয়ে দোকানে ঢুকতে হয়।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে পে-পল এর মত অর্থ লেনদেনকারী প্রতিস্ঠানের সাহায্য নেয়। শুধুমাত্র ইমেইল ব্যবহার করে বিনামুল্যেই সেখানে একাউন্ট খোলা যায়। টাকা আপনার একাউন্টে জমা হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে সেটা উঠিয়ে নেবেন। এই পদ্ধতিও তুলনামুলক দ্রুতই।
বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে পে-পল ব্যবহারে সরকারের অনুমতি নেই। পে-পল ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের নাম খুজে পাবেন না। এবিষয়ে সরকারের সর্বশেষ বক্তব্য, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আপনি এই আশ্বাসের ওপর নির্ভর করে অপেক্ষা করে জীবন পার করতে পারেন।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে অয়্যার ট্রান্সফার। ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়নের মত প্রতিস্ঠানের মাধ্যমে টাকা গ্রহন করা যায়। এই পদ্ধতিও বেশ দ্রুত। তবে এজন্য টাকা দিতে হয়।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে প্রচলিত ব্যাংক চেক গ্রহন করা। তারা আপনার নামে চেক পাঠাবে আপনি সেই চেক ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে টাকা উঠাবেন। এতে সময় বেশি প্রয়োজন হয়, চেকের জন্য আলাদা ফি দিতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, সকলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে না। আপনি যদি গুগলের কাছে টাকা পান তারা আপনার নামে চেক পাঠাবে, ছোট প্রতিস্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সাধারনত এই ঝামেলায় যাবে না। কাজেই আপনার সামনে সুযোগ খুব বেশি নেই।
এবারে দেখা যাক যারা ইতিমধ্যে কাজ করছেন তারা কি করেন।
কেউ কেউ অন্যের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। অর্থাত পরিচিত কারো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুযোগ থাকলে তার নাম্বার ব্যবহার করে সেখানে টাকা জমা করা। তাকে অবশ্যই এতটা বিশ্বস্ত হতে হয় যে টাকার হিসেবে গড়মিল করবে না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে উন্নত দেশগুলিতে সবধরনের লেনদেন যাচাই করা হয়। যদিও বিষয়টি অবৈধ পর্যায়ে যায় না তাহলেও অনেকেই ঝামেলায় যেতে চান না।
পে-পল ব্যবহার যেহেতু সহজ বলে অন্য দেশে করা পে-পল একাউন্ট ব্যবহার করেন কেউ কেউ। এখানেও সমস্যা একই। আপনার নিজেকেই বিদেশে একাউন্ট করতে হয় অথবা অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। পে-পলের নিয়ম অনুযায়ী একজনের একাউন্ট অন্যজন ব্যবহার নিষিদ্ধ। তারা জানলে একাউন্ট বন্ধ করে দেবে।
বাংলাদেশে যারা কাজ করেন তাদের প্রচলিত একটি পদ্ধতি হচ্ছে মানিবুকারস ব্যবহার করা। মানিবুকারস (www.moneybookers.com) পে-পলের মত একই ধরনের সেবা দেয়। তাদের সেবার মানও উন্নত (পে-পলের বিরুদ্ধে নানারকম অভিযোগ রয়েছে)। যেহেতু অনেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন সেহেতু এটাই ভালভাবে জেনে নিন।
আপনার প্রয়োজন স্থানীয় একটি ব্যাংক একাউন্ট। ব্যাংকের কাছে আগে জেনে নিন তারা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কি-না। ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে এই পদ্ধতিতে টাকা উঠানো যায় এটুকু নিশ্চিত করতে পারি।
প্রয়োজন একটি ইমেইল এড্রেস।
এটুকুই। এরপর মানিবুকারস সাইটে গিয়ে নিজের তথ্য দিয়ে নামে একটি একাউন্ট খুলুন। আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনের জন্য সুইফট কোড নামে একটি কোড ব্যবহার করা হয়। ডাচবাংলা ব্যাংকের জন্য এই কোড DBBLBDDH। এই কোড ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্ট যোগ করুন। মানিবুকারস এ একাউন্ট তৈরীর কোন খরচ নেই।
টাকা জমা হলে মানিবুকারস ওয়েব সাইটের উইথড্র থেকে টাকা উঠানোর চেষ্টা করুন। আপনাকে ঠিকানা/ব্যাংক ভেরিফাই করতে বলবে। সেটা করুন। অথবা, ভেরিফিকেশন ছাড়া ১৫ ডলার উঠানো যায়, কাজেই ১৫ ডলারের নিচে উঠান। তারা আপনার ব্যাংকে ভেরিফিকেশন কোড পাঠাবে।
আপনার ব্যাংকে এই তথ্য যেতে ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। ব্যাংকে গিয়ে আপনার কোডটি নিন এবং মানিবুকারস এর সাইটে গিয়ে সেটা ব্যবহার করুন।
এরপর প্রতি ৯০ দিনে ২০০০ ডলারের বেশি পর্যন্ত গ্রহন করতে পারবেন এই একাউন্ট ব্যবহার করে। অর্থের পরিমান যাই হোক, মানিবুকারস প্রতি লেনদেনের জন্য ২.১৬ ডলার কেটে রাখবে সার্ভিস চার্জ হিসেবে। এটা সামান্যই।
প্রতিকুলতা যতই থাক, কাজ করা সম্ভব। চাকরী বা ব্যবসার চিন্তা করে, অন্যের জন্য অপেক্ষায় সময় নষ্ট না করে নিজেই কিছু করার চেষ্টা করুন। অনেকেই করছে।

ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জন : কিভাবে করবেন

সরকার ঘোষনা দিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। প্রতিদিন এবিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বলা হচ্ছে আগামীতে আউটসোর্সিং হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আয়ের উতস, কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় যায়গা। তারপরও যারা একাজ করবেন তারা অনেকেই অন্ধকারে রয়ে গেছেন। অনেকেই জানেন না ঠিক কি করবেন। কি যোগ্যতা প্রয়োজন হবে, কি কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হবে, কি কাজ করতে হবে, কাজ কোথায় পাওয়া যাবে, কত টাকা পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাবে।
এই প্রশ্নগুলির উত্তর ধারাবাহিকভাবে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এখানে।
প্রথমেই একটা কথা পরিস্কার করে নেয়া ভাল। বলা হচ্ছে কাজ করে অর্থ উপার্জনের বিষয়ে। কাজেই আপনাকে কাজ করতে হবে, সে কাজ শিখতে হবে, অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে। আপনার দক্ষতা যত বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ তত বেশি। এটাই একমাত্র পথ। যদি কাজ শিখতে এবং করতে পর্যাপ্ত আগ্রহ এবং চেষ্টা না থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করাই ভাল। সহজে অর্থ উপার্জন বলে যা বুঝানো হয় তা আসলে ততটা সহজ না।
আউটসোর্সিং কি ?
এটা নিশ্চয়ই প্রথম প্রশ্ন। উত্তর হচ্ছে, বাড়িতে বসে অন্য কারো কাজ করা। উন্নত দেশগুলিতে (আমেরিকা কিংবা ইউরোপ) মজুরী অত্যন্ত বেশি। কোন কোম্পানীর যদি নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম তৈরী প্রয়োজন হয়, এজন্য যদি একজন প্রোগ্রামার নিয়োগ করতে হয় তাহলে বিপুল পরিমান টাকা গুনতে হয়। সেকাজটিই অন্য দেশের প্রোগ্রামার দিয়ে করিয়ে নিলে তুলনামুলক কম টাকায় করানো যায়। বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থায় খুব সহজে একাজ করা সম্ভব। আপনি সেই প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, এনিমেটর অথবা যাই হোন না কেন ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তাদের কাজ করতে পারেন, ঘরের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
বড় কোম্পানীর বদলে ছোট কোম্পানী, কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ের কাজের কথা যদি এরসাথে যোগ করা হয় তাহলে কাজের পরিধি বেড়ে যায় অনেক। ধরুন কোন ব্যক্তির একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা প্রয়োজন। তিনি নিজে সেকাজ পারেন না। কাজেই তার প্রয়োজন এমন একজন ব্যক্তি যিনি সেকাজ করে দেবেন। আপনি যদি সেকাজে দক্ষ হন তাহলে আপনি আগ্রহি হয়ে সেখানে যোগাযোগ করলেন। সমঝোতা হল, আপনি কাজটি করে দেবেন, বিনিময়ে ১০০ ডলার পাবেন। লাভ দুজনেরই।
কাজেই, আউটসোর্সিং হচ্ছে এক যায়গার কাজ অন্যযায়গা থেকে করিয়ে নেয়া। এই কাজকে সহজ করার জন্য অনেক প্রতিস্ঠান রয়েছে। তাদের ওয়ের সাইটে বিনামুল্যে সদস্য হওয়া যায় (আপনাকে বিনামুল্যে সেবা দিয়েও তারা নিজেরা লাভ করেন। সে হিসেব আলাদা)।
তাদের সদস্য দুধরনের, একপক্ষ কাজ দেন, আরেকপক্ষ কাজ করেন। আপনি যখন কাজ দেবেন তখন কাজের বিবরন, সময়, অর্থের পরিমান ইত্যাদি তাদের জানাবেন। তারা ওয়েবসাইটে সেগুলি রেখে দেবেন যারা কাজ করতে আগ্রহি তাদের জন্য।
আপনি যত কাজ করবেন তখন তাদের ওয়েব সাইটে গিয়ে সেই তালিকা থেকে নিজের পছন্দমত কাজের জন্য আবেদন করবেন (সাধারনত একটি লিংকে ক্লিক করাই যথেষ্ট)। যার কাজ তিনি আবেদনগুলি যাচাই করে যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে কাজটি দেবেন। আপনি সেই ব্যক্তি হলে কাজটি করে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তারকাছে পাঠিয়ে দেবেন। সাথেসাথে আপনার একাউন্টে কাজের অর্থ জমা হবে।
কাজের ধরন
একটু আগে দুধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে, একটি কোম্পানীর, অপরটি ছোট কোম্পানী কিংবা ব্যক্তির। আউটসোসিং এর কাজ মুলত এই দুধরনের। বড় কোম্পানীর বড় কাজ করার জন্য বড় প্রতিস্ঠান প্রয়োজন। সেখানে আপনি একজন নিয়মিত কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সার নন।
আর ছোট কাজের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই সবকিছু। যোগাযোগ, কাজ করা, অর্থ গ্রহন সবকিছু করতে হবে নিজেকেই। অবশ্য কয়েকজন একসাথে শুরু করে ক্রমাম্বয়ে বড় কোম্পানীতে পরিনত হওয়া অবশ্যই সম্ভব।
ধরে নেয়া হচ্ছে আপনি একা কাজ করতে আগ্রহি। এখানে সে সম্পর্কিত তথ্যই উল্লেখ করা হচ্ছে।
এক কথায়, কম্পিউটার ব্যবহার করে যাকিছু করা সম্ভব সবধরনের কাজই পাওয়া যায় এভাবে। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব পেজ তৈরী, ওয়েব পেজের কোন সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে এনিমেশন, ভিডিও এডিটিং কিংবা একেবারে সহজ ডাটা এন্ট্রি পর্যন্ত। কাজ যত সহজ অর্থের পরিমান তত কম, কাজ যত জটিল অর্থের পরিমান তত বেশি এই নিয়মে।
উদাহরন হিসেবে ওয়েব সাইটের জন্য ফটোশপে একটি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরী করে যে পরিমান অর্থ পাবেন ফ্লাশে এনিমেটেড ব্যানার তৈরী করে পাবেন তারথেকে অনেক বেশি অর্থ। বাস্তব ধারনা পাওয়ার সবচেয়ে ভাল পথ হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজের তালিকা দেখা।
কি শিখতে হবে
কোন কাজ আপনার জন্য ভাল সেটা যাচাইয়ের দায়িত্ব আপনার। আগ্রহ কোন বিষয়ে, দক্ষতা কোন বিষয়ে, কতদুর পর্যন্ত যেতে পারবেন এগুলি একমাত্র আপনিই জানতে পারেন। কোন কাজে অর্থ বেশি এটা বিচার করে সেই কাজ করতে না যাওয়াই ভাল। প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য একধরনের প্রতিভা প্রয়োজন, এনিমেটর হওয়ার জন্য আরেক ধরনের, ভাল ডিজাইনার হওয়ার জন্য আরেক ধরনের। কোন বিষয়ে আগ্রহি হলে সে বিষয়ে খোজ নিন, কিছুদিন চেষ্টা করুন, তারপর দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিন। এবিষয়েও সত্যিকারের সাহায্য পাবেন এধরনের জব সাইটে। প্রতিটি কাজের বর্ননার সাথে কোন সফটঅয়্যারে দক্ষতা থাকতে হবে তা উল্লেখ করা থাকে।
কত আয় করা সম্ভব
বিষয়টি পুরোপুরি আপনার কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে। অধিকাংশ কাজের হিসেব হয় ঘন্টা হিসেবে। গ্রাফিক ডিজাইনকে উদাহরন হিসেবে ধরলে মাসে অনায়াসে হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। প্রোগ্রামার হলে অনেক বেশি।
কি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন
এধরনের কাজে আপনার মুল অস্ত্র হচ্ছে মেধা। কাজেই দামী যন্ত্রপাতি নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয় না, বিশেষ কাজ ছাড়া। কাজের ধরন অনুযায়ী অবশ্যই আপনার স্ক্যানার, গ্রাফিক ট্যাবলেট, দামী ক্যামেরা ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। এধরনের বিশেষ যন্ত্র বাদ দিলে আপনার প্রয়োজন একটি মোটামুটি পর্যায়ের কম্পিউটার এবং ভাল ইন্টারনেট সংযোগ।
বর্তমানে যথেষ্ট কম টাকায় ভাল কম্পিউটার পাওয়া যায়। আর ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে বলা আসলে অর্থহীন। তারা আশা করে আপনি টাকা দেবেন, বদলে কি পাবেন তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না। আর সরকার কিংবা প্রশাসন যত বক্তৃতা-বিবৃতি দিক না কেন, ব্যবসায়িদের কাছে সবসময় মাথা নিচু করে থাকে।
মুল কথায় ফেরা যাক। ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের এটা প্রাথমিক তথ্য। শুরুতেই আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে এধরনের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিস্তারিত পড়া, বোঝার চেষ্টা করা। সত্যিকাজের কাজের তথ্য তাদের কাছেই পাওয়া সম্ভব, অকারনে অন্য যায়গায় সময় নষ্ট করবেন না।
odesk, freelancer এধরনের জনপ্রিয় ওয়েব সাইটের উদাহরন। সার্চ করলে এধরনের আরো বহু সাইট পাবেন। ভালভাবে বোঝার জন্য কয়েকদিন নিয়মিত এই সাইটগুলিতে সময় কাটান।
কাজ শুরু করুন, সেইসাথে আরো জানার চেষ্টা করুন।